October 18, 2024
জাতীয়

ত্রিপুরার ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ‘বিকল্প ভাবছে’ সরকার

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

আঞ্চলিক উপযোগিতা বিবেচনায় ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের ত্রিপুরা দিয়ে কুমিল­ায় ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা স্থগিত করেছে সরকার। এর পরিবর্তে দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি বেশি উপযোগী হবে বলে ভাবা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ে দুদেশের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভার পর বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের এতথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি কুমিল­ার পরিবর্তে উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, সৈয়দপুর ও পঞ্চগড় এলাকা দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করা বেশি লাভজনক।

এর পেছনে যুক্তি তুলে ধরে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, এখন সরবরাহের কারণে কুমিল­া অঞ্চলে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যেখানে উত্তরাঞ্চলে গ্যাস না থাকায় তেল সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বেশি পড়ে।

বাংলাদেশ-ভারত আঞ্চলিক গ্রিডের প্রথম আন্তসংযোগ প্রকল্পের আওতায় মোট ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি চলমান আছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াওয়াট এবং কুমিল­ায় দুই ধাপে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। ২০২০ সালের মধ্যে ত্রিপুরা থেকে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট আনার পরিকল্পনা আছে। দুপক্ষের যৌথ সভায় বাংলাদেশের পক্ষে আহমদ কায়কাউস ও ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। সভা শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন তারা।

ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা সিনক্রোনাস ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা, সূর্যমনিনগর থেকে কুমিল­ায় আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা, প্রস্তাবিত কাটিহার-পার্বতীপুর-বরানগর ৭৬৫ কেভি সিনক্রোনাস ইন্টারকানেকশন ও বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি দ্বিতীয় ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ বিষয়ে সভায় আলোচনা হয় বলে তারা জানান।

কায়কাউস বলেন, দুই দেশের মধ্যে সমান অংশীদারিত্বের যেসব প্রকল্প রয়েছে, তার সবগুলোর অগ্রগতি ও সম্ভাব্যতা নিয়ে কথা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে দুই পক্ষের জন্য লাভজনক খাতগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। ভবিষ্যতের যৌথ অংশীদারিত্বের প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরো বেশি অগ্রগতি কীভাবে অর্জন করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছি।

ভারতের বিদ্যুৎসচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, আমরা রামপাল পাওয়ার প্লান্টের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছি। এটি খুবই ভালভাবে এগুচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এটি উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।

ভবিষ্যতে ট্রান্সমিশন ও জেনারেশনে দুইপক্ষের অংশীদারিত্ব কীভাবে আরও বাড়ানো যায় এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান অংশিদারিত্ব নিয়ে এগিয়ে গেলে দুই দেশই লাভবান হবে বলে আশা করি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *