ত্রাণ আত্মসাৎ: আরো সাত জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত
করেনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ত্রাণে অনিয়মসহ অন্যান্য অভিযোগে আরও সাতজন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার
ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ছয়জন সদস্যকে বরখাস্ত করে মঙ্গলবার পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ১৮ জন চেয়ারম্যান, ২৯ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য এবং একজন পৌর কাউন্সিলরসহ মোট ৪৯ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা অনুমতিতে ইতালি যাওয়ায় মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের রুবেল ইজারাদার ওরফে বাবুল মেম্বার, নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস এবং শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিম মোল্লা।
এছাড়া ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজাউল করিম খান সোহাগ, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিবুর রহমান এবং ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য সাহিদা বেগম রূপাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি এখন কারাগারে আছেন।
অন্য ইউপি সদস্যরা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎসহ ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
কেন তাদের চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জানাতে তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।