ত্রাণে অনিয়ম: আরো ৭ চেয়ারম্যান, তিন সদস্য বরখাস্ত
করেনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও ১০ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
ইউনিয়ন পরিষদের সাতজন চেয়ারম্যান এবং তিনজন সদস্যকে বরখাস্ত করে বৃহস্পতিবার আলাদা আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ জন চেয়ারম্যান এবং ১৯ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্যসহ মোট ৩৫ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন- বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মো. নূরে আলম বেপারী, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মো. মনির রহমান মৃধা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের শাহ আল শফি আনসারী।
এছাড়া রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডল, নড়াইরের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জারজিদ মোল্লা ও কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল ও একই উপজেলার কেশবপুর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাম্মৎ লিপি বেগমকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটের মধ্যে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি, সরকারি ত্রাণের চাল ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম এবং সরকারি চাল নির্ধারিত পরিমাণে বিতরণ না করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আদেশে।
এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউপির চেয়ারম্যান শফি আনসারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভারের সময় বিনা অনুমতিতে বিদেশ গেছেন। নেত্রকোণার গাঁওকান্দিয়া ইউপির সদস্য রফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ষাড়ের লড়াই আয়োজন করে গণজমায়েত করেছেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।
বরখাস্ত এই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। ‘অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে জনস্বার্থের পরিপন্থি’ কাজ করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না- তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিজ নিজ প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে জানাতে তাদের সবাইকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।