ত্রাণে অনিয়ম: আরও ১১ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত
প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, ত্রাণের চাল আত্মসাৎ ও ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে আরও ১১ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করেছে সরকার।
ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান ও ১০ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে বুধবার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ৩০ জন চেয়ারম্যান, ৬৪ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ মোট ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের জন্য পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবুল কালাম, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ৮ নম্বর নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ৪ নম্বর কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই অভিযোগে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ৬ নম্বর চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবালকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদের স্থায়ীভাবে কেন বরখাস্ত করতে হবে না, তা জানতে চেয়ে শোকজও করা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে শোকজের জবাব পাঠাতে অনুরোধ হয়েছে।