ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখছেন রিজভী
ক্ষমতাসীনদের আত্মাসাতের কারণেই নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে সারাদেশে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজারবাগে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজকে সরকারি যে ত্রাণ, এই ত্রাণ আত্মাসাৎ হয়ে যাচ্ছে। কাদের দ্বারা? এই সরকারি দলের লোকদের দ্বারা। হাহাকার করছে খুলনার রেল স্টেশনের শ্রমিকরা একটু ত্রাণের জন্য।
“কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা খাবার পাচ্ছে না। অথচ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের বাড়িতে চাল বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। কার চাল? জনগণের চাল। তাদের টাকায় কেনা চাল।”
সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে রিজভী বলেন, “যখন সকল মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই মহামারী মোকাবিলা করতে হবে। তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকার একগুঁয়েমি করছে। একতরফাভাবে কাজ করতে গিয়ে শুধুমাত্র নিজের দলের লোকজনদের পেট ভরানোর কাজটা গত ১০ বছর ধরে যেভাবে করেছে, এখন সেটাই করছে।
“…এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। আমরা এখনও বলছি যে, জনগণের এই দুর্দশা লাঘব করার জন্য সকলকে একসাথে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে। আজকে যারা সরকার আছেন তাদের প্রধান দায়িত্ব এই কাজটা করার। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী তারা বলছেন ত্রাণ চুরি হচ্ছে না, চাল চুরি হচ্ছে না, আমরা ঠিক মতোই দিচ্ছি।”তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিনই আপনারা গণমাধ্যম খুলে দেখবেন- শুধুমাত্র চাল চুরির ঘটনা, শুধুমাত্র ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা। আর ওদিকে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে একটু ত্রাণের আশায় দুঃস্থরা হাহাকার করছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনও নেই উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “আমরা দেখছি, স্বাস্থ্যকর্মী, যারা ডাক্তার তাদেরকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাত তুলে এই ছাঁটাই করা হচ্ছে। অথচ ডাক্তারদের নিরাপত্তা বিধান করছেন না, নার্সদের নিরাপত্তা বিধান করছেন না। তারা খেতে পারছেন না।”
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ফিউচার অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদ বিন হাসান, কে জি সেলিম, সদস্য নাহিদ রহমান পুতুল, রবিকুল হাবিব প্রমুখ।