ত্রাণের চাল পেয়েছে ৬১ লাখ পরিবার: মন্ত্রণালয়
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৬১ লাখ পরিবার জরুরি ত্রাণ হিসেবে চাল এবং প্রায় ৩৪ লাখ পরিবার নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণ সামগ্রীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে।
সেখানে বলা হয়, “করোনাভাইরাসের দুর্যোগে সারা দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।”
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তাতে বলা হয়, মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ৯২ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন জিআর (জেনারেল রিলিফ) চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৯৮ মেট্রিক টন।
৬০ লাখ ৯০ হাজার ৯০টি পরিবারের ২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৪ জন মানুষ এই চালের উপকারভোগী বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, দেশের সব জেলায় এ পর্যন্ত জেনারেল রিলিফ হিসেবে নগদ ৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; বিতরণ করা হয়েছে ৩১ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ টাকা।
এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮০৯টি এবং উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৪০ জন বলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এছাড়া শিশু খাদ্য কিনতে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৫ টাকা।
এই টাকায় দেশের ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭২৩টি পরিবারের ২ কোটি ৫৬ লাখ ১১৯ জন উপকার ভোগ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস-আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আর তাতে করে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ দশায় পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়েছে পড়েছেন। হতদরিদ্রদের পাশপাশি কর্মহীনদের সহায়তায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।