ত্বকে তারুণ্য ফোটায় ‘ফেইশল মাসাজ’
মেইকআপ ছাড়াই ত্বক সুস্থ ও সতেজ দেখাতে প্রয়োজন ঠিকঠাক যত্ন।
ত্বকে স্বাস্থ্যকর সতেজভাব আনতে ক্লেঞ্জিং, ময়েশ্চারাইজিং ও ‘ফেইশল’ করা প্রয়োজন।
মুখের ত্বকে মালিশ করা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে আরাম দেয়। এর ফলে ত্বকের ক্লান্তিভাব ও চাপের ছোঁয়া দূর হয়।
“মুখে মালিশ করা কোলাজেনের সংশ্লেষ বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা দূর করে”, বলেন ভারতের অক্সিগ্লো কসমেটিক্স’য়ের পরিচালক রাচিত গুপ্তা।
টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “সপ্তাহে দুতিনবার মুখের ত্বক মালিশ করা পছন্দের ফলাফল দিতে পারে।”
ত্বকের সাধারণ সমস্যা যেমন- মলিন ও খসখসে ত্বক, নির্জীবভাব, ব্রণ, দাগ ছোপ ও অকালে বয়সের ছাপ ইত্যাদি দূর করে ত্বকে প্রাকৃতিক আভা ফুটিয়ে তুলতে প্রাকৃতিক জেল দিয়ে ত্বক মালিশ করা উপকার দেয়।
“ত্বকের ধরন বুঝে নানান রকমের জেল পাওয়া যায় যা ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে উজ্জ্বলতা ফোটায়। এগুলো ত্বকে আর্দ্রতা যুগিয়ে উজ্জ্বলভাব ফিরিয়ে আনে”, বলেন তিনি।
তার মতে, ত্বকের পাঁচ মিনিটের পরিচর্যা চমৎকার ফলাফল দেয়। এতে ত্বক সুস্থ থাকে এবং চাপের ছাপ সহজেই কমে যায়।
কার্যকারিতা
– ত্বক মালিশ করার ফলে প্রাকৃতিক আভা ফুটে উঠে।
– লিম্ফেটিক তরল নিঃসরণের মাধ্যমে বিষাক্ততা দূর হয়।
– নিয়মিত মালিশ করার ফলে বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূরে থাকে।
– কোলাজেনের মাত্রা বাড়ে যা ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক ঝুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে তারুণ্য বজায় থাকে।
– ত্বকে উজ্জ্বলতা ব্রণ ও দাগ ছোপ হ্রাস করে।
– এতে পেশির চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে মানসিকভাবে আরাম বোধ হয় ও মন ভালো থাকে।
করণীয়
– হাত ভালো মত ধুয়ে নিতে হবে।
– মুখের ত্বকও পরিষ্কার পানি বা ফেইসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে আলতোভাবে মুছে নিতে হবে।
– ত্বকে প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ জেল ব্যবহার করতে হবে।
– লোমকূপ উন্মুক্ত করতে গরমভাপ নেওয়া উপকারী।
– আঙ্গুলের সাহায্যে আলতো চাপ প্রয়োগ করে গোলাকারভাবে ত্বক মালিশ করতে হবে। কেউ চাইলে রোলার ব্যবহার করতে পারেন।
সতর্কতা
মুখ মালিশ করার সময় খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা ঠিক নয়। চোখের চারপাশের অংশ বেশি সংবেদনশীল তাই এখানে মালিশ করতে হবে আলতোভাবে।
ধীরে এবং ওপরের দিকে সারা মুখে মালিশ করতে হবে। কপাল থেকে গলা পর্যন্ত সারা মুখে আস্তে ধীরে মালিশ করে নিতে হবে।
মালিশ করতে প্রাকৃতিক জেল যেমন- অ্যালো ভেরা, পুদিনা বা গোলাপের নির্যাস আছে এমন জেল ব্যবহার করা উচিত। জেল ত্বককে তৈলাক্ত না করে আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।
এটা তৈলাক্ত ত্বকের মতো শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ভালো এবং বহুমুখী কাজ করে থাকে।
মিশ্র ত্বকের অধিকারীরাও প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জেল ব্যবহারে নানারূপ উপকারিতা পেয়ে থাকেন।