তোবারক হত্যায় দুজনের ‘স্বীকারোক্তি’, রিমান্ডে ৩
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসায় শাহ্ মো. তোবারক হোসেন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ জনের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। গতকাল রবিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় গোলাম রাব্বী ও ইমন হোসেন ওরফে হাসানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বাকি তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করলেও বিচারক চার দিন মঞ্জুর করেন। এই তিন আসামি হলেন- বাবুল হোসেন ওরফে বাবু, সোহেল প্রধান ও আলামিন খন্দকার ওরফে রিহান। বুধবার ভোরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের শান্তি নিকেতনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে ৭০ বছর বয়সী তোবারককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই দিন রাতেই তোবারকের ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, ভোরে ফ্ল্যাটের ডোর বেল শুনে তোবারকের পালিত ছেলে সাইফুল ইসলাম দরজা খুলে দেয়। তখন চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তোবারককে জখম করে।
মামলার পর শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, দড়ি ও লুটে নেওয়া ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, বাসার মোটা অঙ্কের নগদ টাকা লুট করার উদ্দেশ্যেই ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন তোবারকের সাবেক কর্মচারী শাহিন। চাকুরিচ্যুতির প্রতিশোধ নিতে অর্থ লুটের পরিকল্পনা করলেও হত্যার পরিকল্পনা ছিল না তাদের। কিন্তু ডাকাতির সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মারা যান ব্যবসায়ী তোবারক।