তেলের উৎপাদন ১০% কমাতে রাজি ওপেক, রাশিয়া
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় তেলের বাজার ঠিক রাখতে উৎপাদন ১০ শতাংশের মতো কমাতে রাজি হয়েছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও রাশিয়াসহ এর মিত্র দেশগুলো।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় তারা মে ও জুন মাসে প্রতিদিন এক কোটি ব্যারেল করে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওপেক ও রাশিয়াসহ এর মিত্রদের একসঙ্গে ওপেক প্লাস ডাকা হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে তেলের চাহিদা ও দাম আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বেশ কিছুদিন ধরেই এ দেশগুলোর মধ্যে উৎপাদন কমানো নিয়ে আলোচনা চলছিল।
তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেকের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে মতপার্থক্যে আলোচনা বিঘ্নিত হলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সব পক্ষই উৎপাদন ও সরবারহ কমাতে সম্মত হল।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওপেক প্লাস মে ও জুনে দৈনিক এক কোটি ব্যারেল উৎপাদন কমাবে, জুলাই থেকে ডিসেম্বরে কমানো হবে প্রতিদিন ৮০ লাখ ব্যারেল করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কমানো হবে ৬০ লাখ ব্যারেল করে।
ওপেক ও এর মিত্রদের বাইরে অন্যান্য দেশও তাদের উৎপাদন ৫০ লাখ ব্যারেল কমাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তেলের উৎপাদন কমাতে শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলো একমত না হওয়ায় মার্চে তেলের দাম ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে যায়। বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাজার ধরে রাখতে সৌদি আরব ও রাশিয়া উৎপাদন বাড়ানোর পথে হাঁটলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতার ইঙ্গিত দিলে এপ্রিলের প্রথম ভাগে দাম সামান্য বাড়ে।
শুক্রবার শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি২০র জ্বালানি মন্ত্রীদেরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা। তাতে ওপেক প্লাসের বাইরে অন্য দেশগুলোও উৎপাদন কমানোর প্রতিশ্রুতি দেবে বলে আশা মস্কোর অন্যতম শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী কিরিল দিমিত্রভ।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তেল উৎপাদক দেশ যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা না দিলেও তেলের বাজার ঠিক রাখতে উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সৌদি আরব উৎপাদন না কমালে ট্রাম্প দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।