তেরখাদা উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিস্কার
আ’লীগ সভানেত্রীকে হেয় করে বক্তব্য প্রদান
দ. প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করে বক্তব্য প্রদান করায় খুলনার তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেয়াম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান অহিদকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে এই নেতার বক্তব্য নিয়ে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য কোন প্রতিবাদ না করায় তাঁর (এমপি) বিষয়টি কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দলটির জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিস্কার ও ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে অহিদুজ্জামানের বক্তব্যে কোন প্রতিক্রিয়া না দেয়া সংসদ সদস্য সালাম মূশের্দীর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদুল আযহা উপলক্ষে তেরখাদা ইউনিয়নে চাল বিতরণকালে গত ১৯ জুলাই ফেসবুক লাইভে ‘খুলনা -৪ আসনের এমপি কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী ডোনেশন নিয়ে বিদেশ যান’ বলে এই নেতা মন্তব্য করেন। এ সময় মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। এ ঘটনায় জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান অহিদ তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় এমপি সালাম মূর্শেদীর ভুয়সী প্রশংসা করেন। এক পর্যায়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলেন, ‘আব্দুস সালাম মূর্শেদী শুধু তেরখাদার নয়, বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বাংলাদেশ নিয়ে যিনি কাজ করেন; আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন বড় ধরণের অবদান করেন, দেখা যাচ্ছে বহি:বিশ্বে যাবেন তখন কিন্তু তিনি আব্দুস সালাম মূর্শেদী ডোনেশন করেন, টাকা দেন। আমাদের খুলনা জেলার অনেক এমপিকে কিন্তু সালাম মূর্শেদী টাকা দেন, তারা চলেন।’ যেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ও নিন্দার ঝড় তোলে। পরে অবশ্য ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়