তেরখাদায় ইরি ধানের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা
তেরখাদা প্রতিনিধি
তেরখাদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ইরি বোরো ধানের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা ফুটে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। চলতি বছরে ভূতিয়ার বিলের অনেকাংশের পানি অপসারণ হওয়ায় নতুন ভাবে ৪৯৫ হেঃ জমিতে আবাদ করা হয়েছে। সরকারী লক্ষ মাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় গুন জমিতে আবাদ বেড়ে মোট ৮১২৫ হেঃ জমিতে আবাদ করা হয়েছে। তাই সরকারি ভাবে তেরখাদায় ৭৯০০ হেঃ লক্ষ্যমাত্রা থাকলে ও কৃষকের নিজ উদ্দ্যোগে প্রায় ৩০০ হেঃ বেশি জমি আবাদ করে সরকারকে পিছে ফেলার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে ৫০২৫ হেঃ জমিতে হাইব্রিড ধান ও ৩০২০ হেঃ জমিতে উফসী ধান ও ৮০ হেঃ জমিতে স্থানিয় জাতের বোরো ধানের চাষ করা হযেছে।
তেরখাদা কৃষি কর্মকর্তা কাজী সহা-নেওয়াজ এর তথ্য অনুযায়ী, তাদের রক্ষনাবেক্ষনে সার্বক্ষনিক মাঠপর্যারের কৃষকেরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ও সল্প মুল্য সার ও কীটনাশক ওষুধ দিয়ে আক্রমনাত্তক পোকা মাকড় দুরে রাখছেন। বিচ্ছিন্ন কিছু জাগায় পোকার আক্রমন দেখা গেলে সেখানে আলোর ফাদ হাত জাল সহ জমিতে ডাল পুতে পোকা শোধন করার চেষ্টা চলছে।
আটলিয়া বোলাকের কৃষি উপসহকারি জাফিরুল হাসান বলেন, কিছু জাগায় অতিবৃষ্টির কারনে গাছ নরম হয়ে মাজরা পোকা পাতা মোড়ানো পোকা দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক সে এলাকার কৃষক নিয়ে মিটিং করে প্রতিকারের ব্যাবস্থা নিয়েছি। এখন ও পর্যন্ত মাঠে ইরি ধানের ব্যাপক ফলনের সম্ভ্যাবনা দেখা যাচ্ছে। কৃষকেরা আসায় বুক বেধে আঙ্গিনা সহ আসেপাসের খানা খন্দর মাটিভরাট করছে। প্রাকৃতিক কোন দূযোগ না হলে বিগত বছর তুলনায় দ্বিগুন ফসল ঘরে তুলবে বলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ঝড়, শিলা বৃষ্টি, অতিবৃষ্টির ভয়ে কৃষকের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। একারণে স্থানীয় কিছু কৃষক ধান সম্পূর্ণরূপে না পাকা সত্তেও কর্তন শুরু করেছেন।