তেঁতুলিয়ায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত
দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন। সে সময় ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া টাঙ্গাইলে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীমঙ্গলে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদীতে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়ায় ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বদলগাছিতে ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুরে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডিমলায় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজারহাটে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গায় ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও কুমারখালীতে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আগের দিন রোববার সকালে তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যায় ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দেশের কিছু এলাকায় যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অস্থায়ীভাবে আকাশ থাকতে পারে মেঘলা। সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত থাকতে পারে ঘন কুয়াশা।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে পর পর দুই দফা শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। এর মধ্যে কেবল ২২ ডিসেম্বরই কোথাও শৈত্যপ্রবাহ ছিল না।
নতুন বছরের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, “পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে জানুয়ারির ৪ তারিখ থেকে ৫ তারিখ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা ফের কমবে এবং অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ৬ জানুয়ারি থেকে কয়েক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে।”
গতবছর ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।