তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড সংখ্যক ম্যাকবুক বিক্রি অ্যাপলের
বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড সংখ্যক ম্যাকবুক বিক্রি করেছে অ্যাপল। সবমিলিয়ে ৬৫ লাখ ম্যাকবুক বিক্রি হয়েছে এ সময়ে। এতে ভূমিকা রেখেছে ম্যাকবুক এয়ারের মূল্যছাড়
গবেষণা সংস্থা স্ট্র্যাটেজি অ্যানালেটিকসের তথ্য অনুসারে, গত বছরের তুলনায় এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ম্যাকবুকের বিক্রি বেশি হয়েছে ১০ শতাংশ।
ম্যাকবুকের বিক্রি বাড়লেও ক্রোমবুক তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। আইডিসির তথ্য অনুসারে, মহামারী শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিক্রি কমেছে ডিভাইসটির।
স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকস বলছে, সবমিলিয়ে ল্যাপটপের বিক্রি গত বছরের তুলনায় আট শতাংশ বেড়ে ছয় কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজারের ঘরে দাঁড়িয়েছে। এই বিক্রিতে ভূমিকা রেখেছে বাণিজ্যিক প্রয়োজন ও শিক্ষাখাত এবং এর পাশাপাশি ম্যাকবুক এয়ার বা গেইমিং ল্যাপটপের মতো প্রিমিয়াম পণ্যে মূল্য ছাড়ের বিষয়টি।
উপাদান সঙ্কট ও উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে পণ্যের দাম না বেড়ে গেলে এবং বিলম্ব না হলে বিক্রি আরও বেশি হতো। এক কোটি ৫৩ লাখ ইউনিট বিক্রির মধ্য দিয়ে বিক্রি তালিকার শীর্ষ স্থানটি দখলে রেখেছে লেনোভো। এ নিয়ে টানা চার প্রান্তিক প্রথম স্থান অর্জন করলো প্রতিষ্ঠানটি।
তালিকার শীর্ষ পাঁচের অন্যান্য চার প্রতিষ্ঠান এইচপি, ডেল, অ্যাপল ও আসুস।
আইডিসি জানিয়েছে, ক্রোসবুক ও ট্যাবলেট বিক্রি ততোটা ভালো করেনি। ৬৫ লাখ ইউনিট বিক্রির মধ্য দিয়ে বছর-প্রতি-বছর হিসেবে ক্রোমবুকের বিক্রি কমেছে ২৯.৮ শতাংশ। এতে শিক্ষা বাজারের “পরিপূর্ণতা” প্রভাব রেখেছে বলে উঠে এসেছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।
“অনেক স্কুল ও সরকার নিজেদের বাজেট খরচ করে ফেলেছে দূর থেকে শিক্ষার ডিভাইস কিনতে এবং ভোক্তারাও আগ্রাসীভাবে শেখার জন্য ডিভাইস কিনেছিলেন ২০২০ সালে।” – লিখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ক্রোমবুকের বিক্রি তালিকাতেও শীর্ষে রয়েছে লেনোভো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে এসার, ডেল, এইচপি ও স্যামসাং।
সার্বিকভাবে ট্যাবলেট বিক্রি ৯.৪ শতাংশ কমে চার কোটি ২৩ লাখ ইউনিটে এসে ঠেকেছে। এতে প্রভাব ফেলেছে চাহিদা কমে আসা ও সরবরাহে সীমাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার বিষয়টি। এর একটিই ব্যতিক্রম- অ্যাপল। গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির আইপ্যাড বিক্রি ৪.৬ শতাংশ বেড়ে এক কোটি ৪৭ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।
ট্যাবলেট তালিকার শীর্ষে রয়েছে অ্যাপল। ৭৫ লাখ বিক্রি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসাং। এরপর যথাক্রমে রয়েছে অ্যামাজন, লেনোভো এবং হুয়াওয়ে।