তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদে আমরা পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির এই বিপদের দিনে বাংলাদেশ সরকার এবং এখানকার জনগণ তাদের পাশে আছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ তাদের পাশে আছে।
শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বার্তায় বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপদের সময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ পাশে আছে। রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে।
এরপর সোমবার দুপুরে ও বিকালে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরমধ্যে তুরস্কের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রেসিডেন্সি (এএফএডি)।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও। ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার ভোররাতের এই ভূমিকম্পের সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।
এই ঘটনায় তুরস্কের খাহরামানমারাস শহরে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। তারা দুজনই শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মেদ নুর-আলম এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের খাহরামানমারাসে ভূমিকম্পে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন নূরে আলম ও মো. রিংকু। তারা দুজনই শিক্ষার্থী। তারা যে ভবনে থাকতেন সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।