তুরস্কের পার্লামেন্টে এমপিদের হাতাহাতি
সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান নিয়ে এক সাংসদের কঠোর সমালোচনার পর তুর্কি পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের এমপিদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে কয়েক সাংসদকে ডেস্কের ওপর উঠে প্রতিপক্ষের দিকে ঘুসি ছুড়তে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
হাতাহাতিতে কয়েক সাংসদ মাটিতেও পড়ে যান। আইনপ্রণেতাদের অনেকে অবশ্য মারামারি থামাতেও ব্যস্ত ছিলেন বলে ভিডিওতে দেখা গেছে।
বুধবার বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সাংসদ (সিএইচপি) এনগিন ওজকসের বক্তৃতার সময় এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ওজকস এর আগে টুইটারে ও সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা অভিযান নিয়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
এরদোয়ানকে ‘বেইমান, ইতর, নীচ ও বিশ্বাসঘাতক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় নিহত তুর্কি সেনাদের অসম্মান করারও অভিযোগ এনেছিলেন।
“প্রেসিডেন্ট তুরস্কের সন্তানদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন, অথচ তার সন্তানদের বিরুদ্ধেই সেনাবাহিনীতে দীর্ঘসময় সেবা দেয়ার নিয়ম এড়ানোর অভিযোগ রয়েছে,” বলেছিলেন ওজকস।
এর আগে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তৃতায় এরদোয়ানও সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে তুরস্কের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধীদেরকে ‘বেইমান, ইতর, নীচ ও বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
তুর্কি পার্লামেন্টের স্পিকার মুস্তাফা সেন্তোপ সিএইচপির সাংসদ ওজকসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। বিরোধী এ সাংসদ ‘প্রেসিডেন্টকে অপমান করেছেন কিনা’ সরকারি আইনজীবীরা তা খতিয়ে দেখছেন বলেও তুরস্কের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।ইদলিবে রুশ সমর্থিত সিরীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৯ তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে এরদোয়ানের বৃহস্পতিবার মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে। দুই নেতা ইদলিবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।