তিন দিনেও মেরামত হয়নি গ্যাস লাইনের ফুটো
দক্ষিণাঞ্চল ডেক্স
চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় চলছে গ্যাস লাইনের ফুটো মেরামত। শুক্রবার সিটি করপোরেশনের খাল খনন কাজের সময় সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে যায়। এতে রোববার বন্দরনগরী বড় একটি অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। ছবি: সুমন বাবু
চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় চলছে গ্যাস লাইনের ফুটো মেরামত। শুক্রবার সিটি করপোরেশনের খাল খনন কাজের সময় সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে যায়। এতে রোববার বন্দরনগরী বড় একটি অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। ছবি: সুমন বাবু
চট্টগ্রামে খাল খোঁড়ার সময় ফুটো হওয়া গ্যাস লাইন ঠিক হতে কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বড় অংশে সোমবার তৃতীয় দিনেও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় নগরবাসীর ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে। নগরীর আকমল আলী রোডের খাল পাড় এলাকায় খননের সময় গ্যাস সরবরাহ লাইনটির প্রায় দুই ইঞ্চি ফুটো হয়ে গেছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমেদ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাইপ লাইনটি পরিষ্কারের কাজ চলছে, এটি টেকনিক্যাল বিষয় সেজন্য সময় লাগবে।”
কবে নাগাদ মেরামত হয়ে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তা ঠিক সময় ধরে বলা যাবে না। কাজ চলছে, আমরা স্পটে আছি। সারারাতও লাগতে পারে, সকালও হতে পারে। কাজ চলছে, চলবে। কেজিডিসিএল ম্যানেজার (কাস্টমার মেনটেইনেন্স) অনুপম দত্ত বলেন, “পাইপ লাইনটি উন্মুক্ত করা গেছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃক খাল খননের সময় প্রায় ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইনটির প্রায় দুই ইঞ্চি পরিমাণ ফুটো হয়েছে। এটি মেরামতে কাজ করা হচ্ছে, তবে কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের খালপাড় এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মাইট্টালা খাল খননের সময় পাইলিংয়ের একটি হুক গ্যাস সরবরাহ লাইনে ঢুকে ফুটো হয়ে যায়। পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৬০ মেগাওয়াট) ইউনাইটেড পাওয়ার, হালিশহর, পতেঙ্গা, বন্দর, আগ্রাবাদ পুরো এলাকা, সদরঘাট, ফিরিঙ্গী বাজার, আন্দরকিলা, হেম সেন লেইন, জামাল খান, চেরাগী পাহাড়সহ বিভিন্ন অংশে আংশিকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। তৃতীয় দিনেও গ্যাস সংকটের নগরীর এসব এলাকার বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলেনি। অনেকে বিকল্প ব্যবস্থায় কেরোসিন অথবা সিলিন্ডারের চুলায় রান্না করলেও একটি বড় অংশকে হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনতে দেখা গেছে।