তালায় প্রেমিকার পরিবারের হাতে নির্যাতনের শিকার প্রেমিক মৃত্যুশয্যায়
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ানের মেশারডাঙ্গা গ্রামের সমীর বৈরাগীর ছেলে কলেজ ছাত্র জগদীশ বৈরাগী (২২) প্রেমিকার পরিবারের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মৃত্যুশয্যায়। বর্তমানে সে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় তালা থানায় মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, একই এলাকার সোনাবাঁধাল গ্রামের শংকর মন্ডলের মেয়ে সুস্মিতা মন্ডল ওরফে পপির সাথে দীর্ঘদিন তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২ মাস পূর্বে সুস্মিতার সাথে যশোরের রূপদিয়া গ্রামের বিসেশ্বর মল্লিকের ছেলে প্রশান্ত মল্লিকের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছেলে পক্ষ তাদের প্রেমের কথা জানতে পেরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সুম্মিতারা বাবার বাড়ি আসে ৩/৪ দিন পূর্বে। এরই জেরধরে ১৩ মার্চ ছেলে পক্ষ ও মেয়ের পিতৃপক্ষ রাত্র ১০ টার দিকে জগদীশকে মোবাইলে ছলনা করে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে গেলে তারা জগদীশকে নির্মমভাবে মারপিট করে ও শরীরে এক ধরণের বিষ প্রয়োগ করে বলে তাদের ধারণা।
এদিন রাত দেড়টার দিকে তারা বেহুঁশ অবস্থায় জগদীশকে তাদের বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে যায়। তার গোঙানি শুনতে পেয়ে বাড়ির লোকজন জেগে উঠে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিকিউতে ৪ দিন রাখার পর সোমবার খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন যখন সন্তানের জীবন-মরণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন (১৪ মার্চ) মেয়ের পিতা শংকর মন্ডলের ভাড়া করা ১৫/২০ জনের সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী জগদীশদের বাড়িতে গিয়ে তার ভাইকে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। গ্রাম ও পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়। ১৪ মার্চ জগদীশের ভাই ফনিন্দ্র বৈরাগী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদেরকে আসামী করে তালা থানায় মামলা (নং-৭) রুজু করেছেন।