তালায় কেন্দ্রীয় পানি কমিটির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
গতকাল রবিবার সকালে তালা উত্তরণ ট্রেনিং সেন্টারে কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সাধারণ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিন শামস্ স্বাক্ষরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পানি কমিটি নেতা এড. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক হাসেম আলী ফকির, বিষ্ণুপদ দত্ত, মোঃ রুহুল আমিন, অধ্যক্ষ আব্দুল মতলেব, সফিকুল ইসলাম, আলাউদ্দীন জোয়ার্দার, মোঃ ময়নুল ইসলাম, মীর জিল্লুর রহমান, মোঃ নুরুল হুদা, আব্দুর রউফ বাবু, আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, শেখ আবদুল হান্নান, অধ্যাপক মন্ময় মনির, অধ্যাপক অচিন্ত্য সাহা, অধ্যাপক রেজাউল করিম, মোঃ ময়নুল ইসলাম, মীর জিল্লুর রহমান, শেখ সেলিম আকতার স্বপন, পশ্চিম শালতা কমিটির সভাপতি সরদার ইমান আলি, পশ্চিম শালতা কমিটির সেক্রটারী বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়ার্দার, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, আশরাফ আলী, গাজী জাহিদুর রহমান, আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী, পানি কমিটি নেতা গুলশান আরা, মজিবর রহমান খান, সরদার রফিকুল ইসলাম, জি এম শহিদুল্লাহ, শিবপদ মল্লিক প্রমুখ।
উক্ত সভায় কপোতাক্ষ, শালতা, বেতনা মরিচ্চাপ, হরি, টেকা-মুক্তেশ্বরী, শিবসা, হামকুড়া, ঘ্যাংরাইল, শালিখা অববাহিকার পানি কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দসহ ৫১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সতর্কতা মূলক একটি লিফলেট সরবরাহ করা হয়।
সভায় উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম এ অঞ্চলের নদীগুলো রক্ষা করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এভাবে আলোচনা উত্থাপন করেন। তিনি পানি কমিটির দীর্ঘ আন্দোলন, অর্জন এবং সরকারের সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরে পানি কমিটি সফল হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও জানান, টিআরএম এর বিষয়টি এখন পাঠ্যবিষয় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। তনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের নদী রক্ষায় পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সকল জনগণকে অবহিত করার জন্য সকল উপজেলা ভিত্তিক নদ-নদীর মৃত্যু তথ্য সংগ্রহ পূর্বক একটি বিকল্প প্রস্তাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
এছাড়া সভায় বিগত বছরের কার্যাবলী আলোচনা ও আগামী বছরের পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা হয়। এলাকার নদ-নদী রক্ষায় সভা, সেমিনার, প্রেস কনফারেন্স, মানববন্ধন, প্রকাশনাসহ নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে থাকতে হবে তাহলেই নদী রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়