তালায় ঈদগাহের মাটি ভরাট প্রকল্পে অর্থ লোপাটের অভিযোগ!
সভাপতিই জানেননা প্রকল্পের খবর
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালায় এবার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচীর আওতায় একটি ঈদগাহ’র মাটি ভরাট প্রকল্পের প্রায় ৭০ হাজার টাকার ৬০ হাজারই লোপাট করা হয়েছে। এমনকি প্রকল্পে দেখানো কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য ঝরণা বেগম নিজেও জানেননা প্রকল্পের খবর। তবে ঈদগাহ কমিটি বলছেন, তাদের ২২ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। যার প্রায় ১০ হাজার টাকার মাটি ভরাটের কাজ করেছেন তারা। একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পের এমন খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু এলজিএসপি, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আতœসাতের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দায়ের করা অভিযোগে গত ২৩ জুন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও সরেজমিনে প্রতিবেদনে জানাগেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো নক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর) কর্মসূচীর আওতায় তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর ঈদগাহের মাটি ভরাট প্রকল্পে ৬৯ হাজার ৬ শ’৬৮ টাকা বরাদ্দ হয়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য ঝরণা বেগমকে সভাপতি দেখিয়ে একটি প্রকল্প কমিটি করা হয়। আদায়কের উদ্বৃতি’র দেয়া তথ্য থেকে জানাযায়,বিল নং-৩৬,তারিখ-৩০/৫/১৯ প্রকল্প সভাপতি ঝরণা বেগমের স্বাক্ষরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন প্রকার কর্তন ছাড়াই প্রকল্পের অনুকূলে সমুদয় টাকা অর্পণাদেশ ও ছাড়পত্র প্রদানের অনুমতি দিয়েছেন।
ঈদগাহ কমিটির সভাপতি সাঈদ হোসেন জানান, ঈদগাহের মাটি ভরাটের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ২২ হাজার টাকা দিয়েছেন।
প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম জানান, প্রকল্পের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা। চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ ব্যপারে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, প্রকল্পের টাকায় আরো দু’টি উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি ঈদগাহ কমিটি ও রাস্তা সংরক্ষণে পুকুর ভরাট এলাকার সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করেই প্রকল্প গুলি বাস্তবায়ন করেছেন।
এনিয়ে স্থানীয় আরেক ইউপি সদস্য প্রকাশ দালাল বলেন, রেজুলেশন করে প্রকল্প গ্রহনের নিয়ম থাকলেও প্রকল্পটিতে তা করা হয়নি। এমনকি এনিয়ে তাকে জানানোও হয়নি।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, এনিয়ে তিনি এখনই কিছু বলতে পারছেন না। তবে পরে বিষয়টি তদন্তপূর্বক তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা (ডি.আর.আর.ও) প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, তিনি অবশ্যই বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।