তালার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সাইদুরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে হযরানীর অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভুগি সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মোঃ হোসেন আলী খাঁ এর সঙ্গে একই গ্রামের শের আলী গংদের সাথে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে হোসেন আলী খাঁ, সাতক্ষীরা, তালা সিভিল কোর্টে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন।
যার নং ২০৯৯ এবং ওই মামলায় তিনি রায় পান ২০০১ সালে এরিই জের ধরে শের আলী গং বাদী হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এমনিভাবে তিন তিন বার আপিল করে হেরে যান শের আলী গং ও তিন তিন বার রায় পান মোঃ হোসেন আলী খাঁ। এক পর্যায়ে হোসেন আলী খাঁ তার রায় পাওয়া জমিতে বালু ফেলতে গেলে হঠাৎ জাতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস,আই সাইদুর রহমান ঘটনা স্থলে এসে ধরপাকড় শুরু করে।
এ ব্যাপারে হোসেন আলী খাঁ এ প্রতিবেদক-কে জানান, আমি আমার রায় পাওয়া জমিতে ৩ই জুলাই অনুঃ সকাল ১০.৩০ মিনিটে বালু ফেলতে থাকি এরি মধ্যে এসআই সাইদুর রহমান হঠাৎ করে সঙ্গী ও ফোর্স নিয়ে এসে বেপরোয়াভাবে ধরপাড়ক শুরু করেন। আমি বা আমার পরিবারের লোকজন আসলে ছোট ছেলে নাজমুলকে গ্রেফতার করে এবং আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা কিছু বললে আমাদেরকে গাজা ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করে জেল হাজত খাটাবে বলে হুমকি দিয়ে আমার ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যায়। এর পর আমার বড় ছেলে কামরুল ও মেঝ ছেলে আক্তারুল খাঁ ছোট ভাইকে উক্ত ক্যাম্পে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তাদের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। হোসেন আলী খাঁ আরও জানায় এস,আই সাইদুর রহমান আমাদের মাদক ব্যবসায়ী বলে আখ্যায়িত করলেও তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ৯ই অক্টোবর একটি দৈনিক দেশ সংযোগ পত্রিকায় ফেন্সিডিল ও মদ সহ মাদক হজমের অভিযোগে সংবাদ পরিবেশন হয়েছিল। এ কারনে এ,এস,আই থাকাকালীন সময়ে ফেন্সিডিল হজম করার অপরাধে অন্যত্র বদলি করা হয়। এর পর এস,আই হিসেবে পুনরায় তালা থানায় যোগদান করে। থানায় ভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত থাকায় তাকে পুনরায় থানা থেকে পুরাতন কর্মস্থল জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পে বদলী করা হয়। বার বার একই জায়গায় বদলী হওয়ার কারনে এস,আই সাইদুর রহমান বর্তমানে বেপরোয়া ভাবে চলছে এবং থানার ওসিকেও মানতে চায়না। দালাল চক্র তাকে ঘিরে ধরেছে। দালালদের রসদ যোগাতে সাধারণ মানুষ তার কাছে এখন নিরাপদ না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে সে এখন সিদ্ধহস্ত। তার হাত থেকে সাধারন মানুষ বাঁচতে উর্দ্ধতন মহলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।