তারেককে ফেরানোর প্রক্রিয়া ‘শুরু’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
দুর্নীতির দুই মামলা এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। গতকাল রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৩৮ তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, শুধু তারেক রহমানই নন, বিদেশে অবস্থানরত সব অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান। ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়া তারেক রহমানের বিদেশে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। পরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতে তার ১০ বছরের কারাণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে।
গত বছরের ৮ ফেব্র“য়ারি অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয় বিএনপির। আর এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাণ্ড হয়। গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের কথা বলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোটের আগে একাধিক নির্বাচনী জনসভাতেও একই কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, যে কোনো অপরাধী, যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর।
অনুষ্ঠানে বিচারকদের মন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাঁদেরকে ভালভাবে বুঝাতে পারলে তারা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং সেই চেষ্টা করবেন। উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেয়। সেসব দেশে শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধ/মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে তাদের জুডিসিয়ারির উপর চাপ কমে আসছে।