তাবিথের অভিযোগ নিয়ে হাছানের সন্দেহ
গাবতলীতে ভোটের প্রচারের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনার পেছনে ‘কারসাজির’ গন্ধ পাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করার জন্য একটি পক্ষ সক্রিয়, এটি সেই পক্ষরই কারসাজি কি না সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “প্রথম থেকেই বিএনপির চেষ্টা হচ্ছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। সুতরাং নানা ধরনের ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া, এটি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
ঢাকা উত্তর সিটিতে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ বলছেন, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গাবতলী এলাকায় জনসংযোগের সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তার ওপর হামলা হয়।
হামলার জন্য ঢাকা উত্তরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মুজিব সারোয়ার মাসুমের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেছেন তাবিথ।
সিটি নির্বাচনের ভোটের মাঠ বিএনপির জন্যই বেশি মসৃণ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, “ভারতে মন্ত্রীরা সরকারি প্রটোকল বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন, সংসদ সদস্যরাতো পারেনই। যুক্তরাজ্যেও পারেন। অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে প্রটোকল বাদ দিয়ে মন্ত্রীরা অংশ নিতে পারেন, আমরা পারছি না। এটি বরং বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থা দিয়েছে, প্লেয়িং ফিল্ডটা তাদের পক্ষে চলে গেছে।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নবনির্বাচিত পরিষদের সঙ্গে এক মতমিনিময় সভায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী।
গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ওই সভায় তিনি বলেন, চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের কথা বলে, সমসাময়িক কালকে সংরক্ষণ করে। যে কোনো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিনোদনের পাশাপাশি সমাজে বার্তা দেওয়া হলে তা দেশ গঠনে কাজে আসবে।
“চলচ্চিত্র শিল্পের বন্ধ্যাত্ব কেটে গেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন হলে যাচ্ছেন, তারা সিনেমা হলের অভাব অনুভব করছেন, চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আসছে। … দেশে অনেকগুলো সিনেপ্লেক্স আসছে। আশা করছি আগামী এক দুই বছরের মাথায় চলচ্চিত্র শিল্প আরও প্রসারিত হবে।”
অনুদানের চলচ্চিত্র সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে অনুদান দেওয়ার সময়ই নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করার জন্য ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি মিলেছে। শিগগিরই প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় তোলা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।