তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে, কমতে পারে আরও ৪ ডিগ্রি
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কেটেছে। এখন দেখা দিয়েছে তাপমাত্রা কমার প্রবণতা।
এক্ষেত্রে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। আর এটা স্থায়ী হলে বা বিরাট এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে দেখা দেবে শৈত্য প্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে। ঢাকায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার।
সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে।
বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও এই মাঘে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে, যা এবারের শীতকালে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এছাড়া মাদারীপুরে ১২ মিলিমিটার, ভোলায় ৫ মিলিমিটার, গোপালগঞ্জ ও খুলনায় ৪ মিলিমিটার, সিলেটে রেকর্ড করা হয়েছে ৩ মিলিমিটার এবং ফেনী, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালীতে রেকর্ড করা হয়েছে ২ মিলিমিটার বর্ষণ।