তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, সতর্ক করল চীন
তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতির জেরে যুক্তরাষ্ট্রকে পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। যদিও মার্কিন সামরিক বাহিনী যুদ্ধজাহাজের তাইওয়ান প্রণালী পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে নিয়মিত যাত্রা বলে দাবি করেছে। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা চীন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তাইওয়ান প্রণালীতে ঝামেলা তৈরি করতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।
তাইওয়ান প্রণালী এবং এর আশপাশের এলাকার একচ্ছত্র মালিকানা দাবি করে চীন। গত কয়েক মাসে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, হংকংয়ের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। স্ব-শাসিত তাইওয়ানও এ দুই দেশের দীর্ঘদিনের উত্তেজনার অন্যতম উৎস।
মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক বহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ব্যারি তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছে। এই যুদ্ধজাহাজের তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম সেখানে অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতির প্রদর্শন করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন নৌ-বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যেকোনও স্থানে উড্ডয়ন, যাত্রা এবং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর যেকোনও ধরনের সামরিক উপস্থিতি চীনকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য ভূখণ্ড হিসেবে মনে করে চীন।
তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ব্যারির যাত্রা আকাশ এবং সমুদ্রপথ থেকে শনাক্ত করেছে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি।
চীনের সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল ঝ্যাং চুনহুই এক বিবৃতিতে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাইওয়ান প্রণালীতে ঝামেলা তৈরি করে; যুক্তরাষ্ট্রের এমন যেকোনও ধরনের কর্মকাণ্ড এবং কথা বন্ধ রাখতে সতর্ক করা হচ্ছে।
১৯৪৯ সালে চীনে গৃহযুদ্ধের অবসানের পর থেকে পৃথকভাবে শাসিত হয়ে আসছে তাইওয়ান। স্বশাসিত এই দ্বীপের নিজস্ব পতাকা, মুদ্রা এবং সামরিক বাহিনী রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ তাইওয়ানকে এখন পর্যন্ত স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি।
১৯৭৯ সালে তাইপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন; সে সময় চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্পর্ক ছিন্ন করলেও এই দ্বীপ ভূখণ্ডের শক্তিশালী মিত্র এবং প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে থেকে যায় যুক্তরাষ্ট্র।