তাইওয়ান ইস্যু: ঢাকা ‘এক চীন নীতিতে’ বিশ্বাস করে: প্রধানমন্ত্রী
তাইওয়ান নিয়ে সম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই ঢাকা সফরে এসেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। দুই দিনের সফরে আজ রোববার (৭ আগস্ট) শেষ দিনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
এ সময় তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করে বলেন, ঢাকা ‘এক চীন নীতিতে’ বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ চীনের বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়বস্তু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ওয়াং ইর বরাত দিয়ে ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
ওয়াং ই আরও বলেন, ‘ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নেও চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, ওয়াং ইর সঙ্গে আলোচনার সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত বোঝা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংকট সমাধানে চীনের সহযোগিতা চান।
জবাবে চীনের মন্ত্রী বলেন, তার দেশ আশা করে এই সংকট বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। এই ইস্যুতে যদি ত্রিপক্ষীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে চীন ভূমিকা পালন করবে।
কোভিড-১৯-এর সময় বাংলাদেশে এসে ফিরতে না পারা শিক্ষার্থীদের চীন যেতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দিনের সফরে শনিবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওয়াং ই। কম্বোডিয়ার নমপেনে আসিয়ান সম্মেলনে থেকে সরাসরি ঢাকায় আসেন তিনি।
তার এ সফরে চীনের সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধার ঘোষণাও দিয়েছে চীন।