তথ্য চুরির অভিযোগে ইন্সটাগ্রামের বিরুদ্ধে মামলা
ফেসবুকের মতই এবার গ্রাহকের তথ্য চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কাঠগড়ায় ইন্সটাগ্রাম। খবর গ্যাজেটসনাও
মামলায় অভিযোগ উঠেছে, গ্রাহকদের “বায়োমেট্রিক ডাটা” অবৈধ ভাবে সংগ্রহ করছে ইন্সটাগ্রাম। এই কাজটি করছে তাদের “ফটো-ট্যাগিং” ফিচারের মাধ্যমে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকদের অনুমতি ছাড়াই এবং তাদের অগোচরে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের “বায়োমেট্রিক ডাটা” অবৈধ ভাবে সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং আর্থিক লাভের জন্য ব্যবহার করছে মূলপ্রতিষ্ঠান ফেসবুক।
গত মাসে ফেসবুক গ্রাহকদের তথ্য একইভাবে চুরি, সংরক্ষণ এবং আর্থিক লাভের জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে মামলার মুখে পরেছিল। যা ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সমঝোতায় আসতে অনুরোধ করে ফেসবুক।
ইন্সটাগ্রামের তথ্য চুরির বিরুদ্ধে করা এই মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ফেসবুক ১০ কোটিরও বেশি ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করেছে। যা এ বছরের শুরু থেকেই গ্রাহকের অজান্তেই করে আসছে ফেসবুক।
বিবরণীতে আরও বলা হয়, প্রতি আইন লঙ্ঘনের জন্য ১ হাজার মার্কিন ডলার এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে এমন কাজের জন্য ৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হবে ফেসবুককে।
ইন্সটাগ্রাম গ্রাহকদের মধ্যে প্রথমবারের মত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে অ্যাপলের “ফোরটিন বেটা” আপডেটের পরপরই। অ্যাপল অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট আসার পর দেখা যায় ব্যাকগ্রাউন্ড মোডেও গোপনভাবে ক্যামেরা ফাংশন চালু করে রাখছিল ইন্সটাগ্রাম।
অ্যাপলের “ফোরটিন বেটা” আপডেটে “ক্যামেরা অন ইন্ডিকেটর” ফিচার চালু হওয়ার পরপরই গ্রাহকদের চোখে পড়ে বিষয়টি। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল তোলায় বাগ ফিক্সিংয়ের কথা বলে ঝামেলা ধামা চাপা দেয় ইন্সটাগ্রাম।