ঢামেক বার্ন ইউনিটে করোনা রোগী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত স্থগিত
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে করোনা রোগীদের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার কথা থাকলেও সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থগিত করেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢামেক বার্ন ইউনিট ১০০ শয্যার হাসপাতাল। সেখানে রোগী আছে প্রায় ৩০০। এতগুলো পোড়া রোগী স্থানান্তর করা খুবই ঝুঁকির বিষয়। সেটা রোগীর জন্যও খুব কষ্টকর। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে আগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন,ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটে অধিকাংশ পোড়া রোগী। এদের মধ্যে অনেক রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব রোগী টানাহ্যাঁচড়া খুবই ঝুঁকির ব্যাপার। তাই এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয় আপাতত বিষয়টি স্থগিত করেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, ঢামেক বার্ন ইউনিট আমাদের অধীনে না। তারা যদি আমাদের এখানে রোগী পাঠায় আমরা প্রস্তুত আছি।
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভার বাড়ায় ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট জরুরি ভিত্তিতে খালি করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর বার্ন ইউনিটের সব রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে বলে জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
তবে বার্ন ইউনিটের রোগীদের কথা বিবেচনা করে সে সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।