ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেছাল
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক অভিযোগপত্র দাখিল না করে সময়ের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবু সাঈদ অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ধর্ষণের এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার মজনুর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান এর মধ্যে বলেছেন, আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শ্যাওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তিন দিনের মাথায় ৮ জানুয়ারি মজনু নামের আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী এই যুবককে গ্রেপ্তার করে র্যাব বলে, ‘মাদকাসক্ত’ এই যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষক। ওই ছাত্রীও ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেছেন।
র্যাবের ভাষ্যমতে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মজনু অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে পেশা হিসেবে দিনমজুরি ও হকারির কথা বললেও তিনি ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মত কাজেও’ জড়িত ছিলেন।
মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। ওই শিক্ষার্থীও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।