ঢাবিতে ফের ককটেল বিস্ফোরণ
(ছবি প্রতীকী)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবারও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনের রাস্তার পাশে বিস্ফোরণটি হয় বলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, যখন ককটেলটি বিস্ফোরিত হয় তখন মধুর ক্যান্টিন ও ডাকসু ভবনের কাছেই সাদা পোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। এক রিকশাওয়ালাও সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরে ঘটনাস্থলে নিউ মার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রইস উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বা কোথা থেকে ককটেলটি ছুড়ে মারা হয়েছে তা অনুমানের উপর বলা যাচ্ছে না। তবে এতে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। প্রক্টরিয়াল টিম ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সেখানে আছে।
“যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।”
গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওইদিন ছোট একটি বিস্ফোরণের পর মধুর ক্যান্টিন ও আইবিএ ভবনের গেইটের মাঝামাঝি জায়গায় একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ককটেলটির নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়।
এর তিনদিন পর ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় মধুর ক্যান্টিনের সামনে তিনটি এবং বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ডাকসু ভবনের পাশে ককটেল ফাটানো হয়। পরদিন ফের মধুর ক্যান্টিনের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে হৃদয় নামের এক ক্যান্টিন বয়ের কোমরে স্প্লিন্টার লাগে।
১ জানুয়ারি সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশের কয়েক গজ দূরে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় । তখন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
৫ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে কলাভবনের তিনটি স্থানে তিনটি ককটেল ফাটানো হয়, যার দুটি বিস্ফোরিত হয় ছাত্রদলের কর্মসূচি চলার সময়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের কোনো কারণ উদঘাটন করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সংগঠনগুলো এজন্য পরস্পরের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছে।