ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতে হবে
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন–বোনাস ও টিএডিএসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওয়াসা বোর্ডের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার অভিযোগ এনে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত জুলাইয়ে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ১৭ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওই সব তথ্য আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
রুলে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিগত দিনে তাকে দেওয়া মাত্রাতিরিক্ত বেতন কেন তার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে না এবং তাকে অপসারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ওয়াসা বোর্ড। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো।
আদালতে ওয়াসা বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম মাসুম। ক্যাবের পক্ষে আদালতের অনুমতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে (ইন পারসন) শুনানি করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.এম শামসুল আলম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টে শুনানি করা এই মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।