ঢাকা উত্তর আ’লীগের নেতৃত্বে বজলু-কচি, দক্ষিণে মান্নাফি- হুমায়ুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুই শাখা ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শেখ বজলুর রহমান, আর দক্ষিণে আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি।
উত্তরের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম মান্নান কচি; দক্ষিণে এ পদ পেয়েছেন হুমায়ুন কবির।
শনিবার বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের কাউন্সিলে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
উত্তরের নতুন সভাপতি বজলুর গত কমিটির সহ-সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কচি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দক্ষিণের সভাপতি মান্নাফি এবং সাধারণ সম্পাদক হুামায়ুন কবির দুজনেই গত কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন।
দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
এই সম্মেলন থেকেই আগামী তিন বছরের জন্য নগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হল, যাদের ওপর দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের ভারও থাকবে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে খড়গ নেমে আসার পর যুবলীগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আরও তিনটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ একসঙ্গে ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এর অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগরের সম্মেলন সারলো ক্ষমতাসীন দলটি।নতুন কমিটি ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে ৮ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর দক্ষিণে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জনের নাম এসেছিল।
“আমরা সমঝোতার জন্য তাদেরকে ১০ মিনিট সময় দিয়েছি। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি এবং দক্ষিণে সভাপতি আবু আহাম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এই সিদ্ধান্ত আপনারা মেনে নেবেন।”
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ৪৫টি থানা এবং ১০০টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তখন ঢাকা মহানগর উত্তরে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় এ কে এম রহমতুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাদেক খানকে। দক্ষিণের সভাপতি হন আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক হন শাহে আলম মুরাদ।
দুই শাখা মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি কাউন্সিলর এবারের সম্মেলনে অংশ নেন বলে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন।