ঢাকা উত্তরে জাপার প্রার্থী কামরুল, দক্ষিণে সাইফুদ্দিন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরের মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলাম, আর দক্ষিণে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ রবিবার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন। পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে তারা দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হওয়ায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা কামরুল জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছেন গত সপ্তাহে। আর হাজী মিলন দলের গত কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
রবিবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাঙ্গাঁ দুই নেতার নাম ঘোষণার সময় বলেন, হাজী মিলন সাহেব শুরুতে একটু নিমরাজি ছিলেন। পরে আমরা বলেছি, আপনি এই নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত। আমরা তার পেছনে সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করব।
গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনস্থলে রাঙ্গাঁ পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের পর এসে পৌঁছালে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন হাজী মিলন। তিনি বলেছিলেন, রাঙ্গাঁর মত মহাসচিবের দরকার নাই। রাঙ্গাঁ তখন প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, যে নেতা সারা শহর পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে ফেলেন, তার মুখে এমন কথা মানায় না।
জাতীয় যুবসংহতির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির গত কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা কাজী ফিরোজ রশীদও।
ঢাকা উত্তরের মনোনীত প্রার্থী কামরুল সম্পর্কে জি এম কাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কামরুল সাহেব একজন দক্ষ কর্মকর্তা। খেলাধুলাতেও তার অনেক অবদান রয়েছে। দেশের নানা ইস্যু নিয়ে তার বই রয়েছে। আমরা আশা করছি, ঢাকা উত্তরে তিনি শক্তিশালী প্রার্থী হবেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশীদার হলেও জাতীয় পার্টি এবার ঢাকা সিটি নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন জি এম কাদের। চলতি বছর ২৮ ফেব্রæয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি একক প্রার্থী দিয়েছিল।
ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ওই উপ নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পান। তাতে দলের অনেক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হলেও শীর্ষ নেতারা তাতে কর্ণপাত করেননি। সেই নির্বাচনে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে উত্তরের মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম। আর জাতীয় পার্টির শাফিন পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। মেয়র পদে মনোনয়নের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও প্রার্থীদের অনুষ্ঠানিক সমর্থন দেবে জাতীয় পার্টি। মনোনীতদের বিপক্ষে কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন জি এম কাদের।