November 25, 2024
জাতীয়

ঢাকার পথে ভারত থেকে আসা ২০০ টন অক্সিজেন

ভারত থেকে আসা ২০০ টন তরল অক্সিজেন সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর থেকেই চলছে খালাস কার্যক্রম। এরমধ্যে একটি ট্যাংকলরি ২০ টন তরল অক্সিজেন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আরেকটি যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্যাংকলরিটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বাকি ট্যাংকলরিগুলো পর্যায়ক্রমে লোড নিয়ে যাবে বলে জানান লিন্দের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রশাসন বিভাগের ব্যাবস্থাপক সুফিয়া আক্তার ওহাব।

এর আগে শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় ভারতের ঝাড়খন্ড প্রদেশের জামশেদপুর টাটানগর থেকে ১০টি কন্টেইনারে তরল অক্সিজেন নিয়ে ছেড়ে আসে ইন্দো-বাংলা ট্রেন। রোববার (২৫ জুলাই) সকাল পৌনে ১১টার দিকে এ অক্সিজেন নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেনটি।

লিন্দে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও প্রশাসন বিভাগের ব্যাবস্থাপক সুফিয়া আক্তার ওহাব বলেন, ২০০ টন অক্সিজেন নিয়ে ভালোভাবে এ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি। এতো অল্প সময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনসহ সবার এতো আন্তরিক সহযোগিতা পাবো, এটি ভাবিনি। এছাড়া লিন্দে চেষ্টা করছে করোনাকালীন অক্সিজেনের যে চাহিদা বেড়েছে তা যতটুকু সম্ভব যোগান দিতে।

লিন্দের গ্যাস বিভাগের বিক্রয় ও বিপনণ শাখার মহাব্যাবস্থাপক নুরুর রহমান জানান, মোট ১০টি ট্যাংকলরিতে ২০০ টন তরল অক্সিজেন লোড হয়ে ঢাকা যাবে। প্রতিটি ট্যাংকলরি লোড হতে সময় লাগার কথা ২ ঘণ্টা। তবে চাপ কম থাকায় প্রায় ৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। যেহেতু দুটির বেশি একসঙ্গে লোড করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অক্সিজেন আনলোড করতে অন্তত ২০ ঘণ্টা লাগবে।

 

লিন্দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিভাগের কান্ট্রি ব্যাবস্থাপক রাজিব দেবনাথ বলেন, স্টেশনের সামনের দিকে জায়গা কম থাকায় আমরা একসঙ্গে দুটির বেশি ট্যাংকলরি লোড করতে পারছি না। তাই ১০টি ট্যাংকলরি লোড করতে অনেক সময় লাগবে। যদি অক্সিজেনবাহী ট্রেনের বাল্ব বক্স (অক্সিজেন আনলোড মেশিন) স্টেশনের সামনে না হয়ে উল্টোদিকে থাকতো তাহলে একসঙ্গে সবগুলোই লোড করা সম্ভব হতো।

সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, এটি আমাদের করোনাকালীন চিকিৎসাসেবায় অক্সিজেনের যে সঙ্কট তা অনেকাংশেই লাঘব করবে। এইবার আসা মাত্র শুরু হলো। এখন পর্যায়ক্রমে অক্সিজেন কিন্তু ভারত থেকে আসতেই থাকবে। এছাড়া এখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পরে সারাদেশের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগ এগুলো বণ্টন করবে।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে ২০০ টন অক্সিজেন দেশে আসা আমাদের অনেক বড় অর্জন। ট্রেনযোগে ভারত থেকে আসা অক্সিজেন সিরাজগঞ্জে খালাস হলো। তাই এখান থেকে আবার লোড করে ট্যাংকারে করে ঢাকাতে যাবে। পরবর্তীতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখবো, এটি সরাসরি ঢাকায় নেয়া যায় কি-না। তাহলে সময় বাঁচবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *