ঢাকাতেই থাকতেন হারিছ চৌধুরী, মৃত্যুও এখানেই!
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে কয়েকদিন ধরে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছিল সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক।
বুধবার (১২জানুয়ারি) দিবাগত রাতে একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা
ওই সাক্ষাৎকারে এম এ মালেকের কাছে জানতে চাওয়া হয় বুধবার(১২জানুয়ারি) বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী গত তিন মাস আগে লন্ডনে মারা গেছেন। তিনি লন্ডনে এসেছিলেন কি না বা আসলেই মারা গেছেন কিনা। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি হিসেবে এ বিষয়ে আপনি অবগত আছেন কিনা?
জবাবে হারিছ চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এম এ মালেক বলেন, আমি হারিছ ভাইর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং যারা আমাদের মাঝে নাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বিগত দিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এম এ মালেক বলেন, হারিছ চৌধুরী সাহেব ওয়ানইলেভেনের পর থেকে ঢাকাতেই ছিলেন। উনি দেশ থেকে কখনও বাইরে বের হননি। একটা গুজব ছিল উনি হয়তো ভারতে অথবা লন্ডনে। তো লন্ডনের বিষয়টা টোটালি ভিত্তিহীন। কারণ উনার সঙ্গে আমার পারিবরিক, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে, ভাবী সবার সঙ্গে একটা গুড রিলেশন ছিল। বিষয়টা হচ্ছে যে উনি ওয়ানইলেভেনের পর কখনও লন্ডনে আসেননি। উনি ঢাকাতেই মারা গেছেন। এটা সত্য ঘটনা, আমি খুব ঘনিষ্ঠ সূত্রে এ বিষয়টা জানি এবং উনাকে ঢাকাতে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন, উনি লন্ডনে আসেননি।
উনি কবে মারা গেছেন জানতে চাইলে এমএ মালেক বলেন, উনি তিন মাস আগে মারা গেছেন এটাও সত্য। উনি মারা যাওয়ার পরই উনার ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয়র সঙ্গে আমার দেখা হয়। গুজবটা আমার কাছেও আসছিল, তখন উনি আমাকে নিশ্চিত করলেন যে হারিছ চৌধুরী সত্যিকার অর্থে মারা গেছেন এবং ঢাকাতে দাফন করা হয়েছে। উনিতে ঢাকাতে থাকতেন এটা আমি ভালো করে জানি। কারণ ওনার বড় বোনের ঢাকার বাড়িতে উনি থাকতেন। মাঝে মাঝে অন্যান্য ভাইদের বাসাতেও থাকতেন। এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, উনি বাংলাদেশের বাইরে কোথাও আসেননি, কখনও আসেননি।
আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি উনি লন্ডনে ছিলেন, অনেকে বলছেন যেহেতু লন্ডনে আছেন সেহেতু আপনাদের (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এরকম একটা গুজব ছিল। এ ধরনের কিছু ছিল কিনা?
জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত হচ্ছে যে লন্ডনতো উনি(হারিছ চৌধুরী) আসেননি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে থাকেন এটা সত্য। কিন্তু হারিছ চৌধুরী সাহেব ওয়ানইলেভেনের পরে কখনও লন্ডনে আসেননি। আমার মনে হয় হারিছ চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে তারেক রহমানের ওয়ানইলেভেনের পর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ ছিল না।