ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতি জোর কলকাতার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কলকাতায় সফলভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে উলেখ করেছেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একইভাবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
গতকাল সোমবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফলতার অন্যতম কারণ হিসেবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কথা উলেখ করেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। যেসব দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ আছে, সেখানে দেখা যায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা নেই। আমাদের এখানে সিটি করপোরেশনের মেয়র, এমনকি রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ সবাই কিন্তু মাঠে নেমেছিলেন। তাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করার প্রতি জোর দেন কলকাতা সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক ডা. তপন মুখার্জি।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের তিনটি বিভাগের (স্বাস্থ্য, বর্জ্য এবং ভেক্টর কন্ট্রোল) প্রতিনিধিরা প্রতিদিনের তথ্য পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা করে তারা দেখেন, এখন কী করতে হবে এবং আগামীকাল কী করতে হবে। সেই প্রতিবেদন প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দিয়ে বলা হয়, তাকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর কাউন্সিলর সেসব করছেন কি-না, তা ব্যুরো বা জোন লেভেল এবং কেন্দ্রীয় লেভেল থেকে মনিটরিং করা হয়।
এসময় ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষায় কলকাতার পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজের এক প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, মানুষ অনেক সময় আতঙ্কে মনে করেন, মশার ওষুধ কার্যকর না। তাই ওষুধ পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠে। মশার ওষুধ পরীক্ষা করা হয় আবদ্ধ জায়গায়। তাই খোলা জায়গায় ওষুধ দিলে তা কার্যকর না-ও হতে পারে। কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোথায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ওষুধ দিতে হবে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর (রোগের জীবাণু বহনে সক্ষম বাহক) ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে। তাহলেই ওষুধ কাজ করবে।
পরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সিটি করপোরেশন এবং সরকারের সদিচ্ছা আছে বলে কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র এবং কর্মকর্তাদের অবহিত করেন আতিকুল ইসলাম। দু’পক্ষের মধ্যে এই ভিডিও কনফারেন্স দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়ে বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।