ডেক্সামেথাসনের ব্যবহারে সরকারের সতর্কতা
করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় সহায়ক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত ডেক্সামেথাসনের ব্যবহার নিয়ে সাধারণ জনগণ এবং ফার্মেসিগুলোকে সতর্ক করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেক্সামেথাসন ব্যবহার হয়ে আসছে। ডেক্সামেথাসন একটি স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় প্রণীত জাতীয় নির্দেশিকায় ওষুধটি ব্যবহারের কথা বলা হলেও এটি করোনা ভাইরাসের চিকিসার মূল ওষুধ নয়।
করোনা চিকিৎসায় এটি সহকারী ওষুধ হিসেবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় সহকারী ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। আক্রান্ত হলে এবং হাসপাতালে ভর্তি হলে শুধু গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়, অন্য ক্ষেত্রে নয়।
ডেক্সামেথাসন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবনবিধি এবং মাত্রা না মেনে ওষুধটি সেবন করলে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাড়ক্ষয়, আলসার, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য রোগীর ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। ওই ওষুধ অপ্রয়োজনে ব্যবহার করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে করে আবার মানুষের করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ডেক্সামেথাসন ওষুধটি বিক্রি করা হচ্ছে এবং জনসাধারণ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহারের উদ্দেশে ওষুধটি মজুদ করছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডেক্সামেথাসন ওষুধটির প্রয়োগ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়, ওষুধ বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেক্সামেথাসন প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ডেক্সামেথাসন ওষুধটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা এবং সেবন করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরাধ করা হয়েছে।