ডুমুরিয়ায় নৌকার প্রার্থীকে হারাতে মাঠে নেমেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য
সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ প্রার্থীর অভিযোগ
দ: প্রতিবেদক
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা) আসনের সাংসদের নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা সরোয়ার।
তার অভিযোগ, নৌকা প্রতীক হারাতে মাঠে নেমেছে সাংসদ ও তার অনুসারীরা। প্রতিনিয়ত নৌকা প্রতীকের কর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কয়েকজনকে মারপিট করা হচ্ছে। সাংসদের অনুসারীরা ঘোষণা দিচ্ছেন, ‘নৌকা প্রতীকের কোনো এজেন্ট যেন কেন্দ্রে না থাকে।’
গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এ সময় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল খোকনসহ ৩ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা সরোয়ার অভিযোগ করেন, গত ১৮ মার্চ যশোর আইটি পার্কের অডিটোরিয়ামে সভা করেন সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র। সেখানে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও কিছু উপজেলা চেয়ারম্যানকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্ত্রী সেখানে ‘যে কোনো মূল্যে নৌকা ঠেকানো’র নির্দেশ দেন। ওই সভায় উপস্থিত সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বুলু এর প্রতিবাদ করলে সাংসদ তাকেও ধমক দেন। ওই সভাতে সাংসদ ঘোষণা দেন নৌকা প্রতীকের এজেন্ট যেন কেউ না হয়।
তিনি বলেন, এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন হচ্ছে। চুকনগর বাজারে নৌকা মার্কার দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। শাহপুর বাজারে দুই জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নৌখা প্রতীকের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। খর্নিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ মলিককে বলা হয়েছে, নৌকায় ভোট দিলে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
নৌকা প্রতীকের এই প্রার্থী আরও অভিযোগ করেন, ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা সবাই সাংসদের অনুসারী। সাংসদ তাদের গাইড লাইন দিয়েছেন। তিনি এই তালিকা যাচাই-বাছাই করে নিরপেক্ষ লোকদের প্রিজাইডিং অফিসার করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে খুলনা-৫ আসনের সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘এসব কাল্পনিক অভিযোগ। বরং মোস্তফা প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষ আতংকিত। সে প্রায়ই মানুষকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় শুনতে পাই তাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে তিনি নিজেও বিষ্ময় প্রকাশ করেন। পরে শাহানওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের আইনী জটিলতা তিনি প্রতীক পাননি। কিন্তু দলের ঘোষিত প্রার্থী শাহানওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার বলে আমি মনে করি’।