January 20, 2025
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

ডুমুরিয়ায় ইটভাটা জবর দখলের পর মালিককে প্রাণনাশের হুমকি

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষিত

 

দ. প্রতিবেদক

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় মোঃ সিরাজ খানের এসকেবি ব্রিক্স নামের ইটভাটাটি জবর দখল করে ভূমিদস্যূরা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একাধিক তদন্তে এটি প্রমাণিত হয়। পরে আর্থিক ক্ষতিপূরণসহ ইটভাটাটি প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেবার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যুরা নানাভাবে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন সিরাজ খানকে। একাধিকবার থানায় অভিযোগ করতে যেয়েও সন্ত্রাসীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ তার। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

সূত্রমতে, ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়ায় মোঃ সিরাজ খানের ক্রয়কৃত এসকেবি ব্রিক্সটি জবর দখল করে নেন খালিশপুরের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল হাই বাহার। ইটভাটা ফিরে পেতে ৫ ফেব্রæয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ (যার নং-৪৭৭) করেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিকে তদন্তভার দেন জেলা প্রশাসক। গত ৫ মার্চ উভয়পক্ষের শুনানী গ্রহন ও গোপন তদন্তের পর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক (০৫.৪৪.৪৭০০.২২.০০১.০০৩.২০-৭৬৩নং স্মারকে) তদন্ত প্রতিবেদনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহনাজ বেগম উভয়পক্ষকে ১৪ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য (০৫.৪৪.৪৭৩০.০০১.০৫.০১৩.২০নং স্মারকে) নির্দেশ দেন।

তাতে বলা হয়, বিরোধীয় ইটভাটার মালিক মোঃ সিরাজ খান এবং তার স্থাপনা রয়েছে। তার মতে ভাটায় ৭ লাখ ইট পোড়ানো ছিল। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কি পরিমান ইট ছিল তা উদঘাটন করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার যথাযথ ক্ষতিপুরণ ভাটার বর্তমান দখলদার আব্দুল হাই বাহারের নিকট থেকে আদায়পূবর্ক ক্ষতিগ্রস্থকে পরিশোধ করতে হবে। একই সাথে দ্রæত ভাটার বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। ভাটায় ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নেই না থাকায় ভাটা স্থাপনা ও ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী মোছাঃ মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, উভয়পক্ষের সমাঝোতায় না হলে কঠোরভাবে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ সিরাজুল খান রূপসা উপজেলার শোলপুর গ্রামের আলী আকবার খানের ছেলে। তিনি বলেন, পেশীশক্তির জোরে আমার ইটভাটা জবর দখল করে নেয় ওই ভূমিদস্যূ। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যখন সেটি ফিরে পাচ্ছি, তখনই নানাভাবে আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। একাধিকবার থানায় অভিযোগ করতে যেয়েও করতে পারিনি। সর্বত্র তার পোষ্য সন্ত্রাসীরা রয়েছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *