ডিজিটাল মাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে চীন-হংকং
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে হংকং। চীনের অধীনে স্বায়ত্ত্বশাসনে থাকা হংকং, চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে নিজ অংশেও।
এর মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম এবং চীন-হংকং প্রশাসনের মধ্যে এক ধরনের ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে হংকং এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কড়া আইন কার্যকর করা হয়। এই আইনের আওতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেট ও ডিজিটাল মাধ্যমগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইন ভঙ্গ করে কোনো প্ল্যাটফর্ম কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের শারীরিক বা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে যদি তথ্য প্রকাশ করে তাহলে উক্ত প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ এক লক্ষ ২৮ হাজার ৭৩১ মার্কিন ডলার পর্যন্ত আর্থিক জরিমানার সাজা ঘোষণা করা যাবে।
অবশ্য আইনের কঠোরতা কমিয়ে আনতে হংকং সরকারের কাছে জোটবদ্ধভাবে আবেদন জানিয়েছে গুগল, ফেসবুক, টুইটার, অ্যাপল এবং লিঙ্কড ইন। তবে সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন হংকং সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারি ল্যাম।
এবিষয়ে ক্যারি ল্যাম বলেন, এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা অবৈধভাবে তথ্য প্রকাশ করে বা ব্যবহারকারীদের তথ্যের অনৈতিক ব্যবহার করে সেগুলোকে বন্ধ করা। একইসঙ্গে গোপনীয়তা বিষয়ক কমিশনের কমিশনারেরা যেন তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে তথা তদন্ত করতে পারে সেই পথ নিশ্চিত করা। এই আইন দ্রুত প্রয়োগ করা হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে গুগল, ফেসবুক ও অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠান ও সেগুলোর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে হংকং এ এখনও এসব কোম্পানি চালু রয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ২০১৯ সালে হংকং-এর সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার পেছনে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করে আসছে চীন।
মূলত এরপর থেকেই হংকং-এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণে নড়েচড়ে বসে বেইজিং যার সর্বশেষ ফলাফল নতুন এই আইন।