November 25, 2024
জাতীয়

ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবাদে বরিশালে শিক্ষা ব্যবস্থা ও জনসেবায় আসছে পরিবর্তন

(বাসস) : ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নের সুবাদে দেশের অন্যান্য এলাকার সাথে সাথে বরিশাল অঞ্চলও শিক্ষা ব্যবস্থা ও জন সেবায় আমূল পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। যেকারণে উপকৃত হচ্ছে মানুষ।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিত্য নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করছে আধুনিক প্রযুক্তি। কৃষক মুঠোফোনে পাচ্ছে কৃষি নির্দেশনা, নিমিষেই জেনে যাচ্ছে কৃষি পণ্যের দর। প্রবাসীরা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করে টাকা পাঠাচ্ছে পরিবারকে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবায়, উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এসেছে পরিবর্তন। সারাদেশের এমনই চিত্রের প্রতিফলন দেখা যায় বরিশাল অঞ্চলেও।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল প্রযুক্তিকর্মী এবং শিক্ষা-বাণিজ্য, উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালনা করতে ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার প্রধান উপহার দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলার ৮৭টি ইউনিয়ন, ১০টি উপজেলা, ৭টি পৌরসভা ও ১০টি নগরের প্রতিটিতে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব ডিজিটাল সেন্টার (তথ্য সেবা কেন্দ্র) থেকে অনলাইনে নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যু সনদ প্রদান, আয়কর সেবা প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, খাজনা, ট্যাক্স, হজের আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা গ্রহণসহ সর্বোমোট প্রায় ৮৭টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ১০টি সরকারী ও ৭০টি বে-সরকারী কলেজ, ৩’শ ৯০টি মাধ্যমিক, ৭০টি নি¤œ-মাধ্যমিক, ৭’শ ১০টি মাদ্রাসা ও প্রায় ১ হাজার ৭’শ ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭’শ ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ১ হাজার ১’শ ৯০টি মাল্টিমিডিয়া ক্লসরুম স্থাপন করা হয়েছে। ৪০টি কলেজে ২’শ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৪০টি আইসিটি ভবন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানাগেছে, ১’শ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বরিশাল আইসিটি পার্ক। সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পাসর্পোট অফিস। এ পাসর্পোট অফিস থেকে বছরে প্রায় ২ লাখ লোক সেবা পাচ্ছে। জেলার প্রায় ৮৫টি ইউনিয়নের ৪’শ ২০টি ডাকঘরকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় রূপান্তর করা হয়েছে। এ সকল ডাকঘর থেকে অনলাইনে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা ব্যবস্থার সব কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নশীল দেশের পথে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসনকে সরকার মানুষের কাছে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে। বাংলাদেশকে আগামী দিনের ডিজিটাল পৃথিবীর নেতৃত্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে জনবান্ধব প্রশাসন অপরিহার্য।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *