ডিএনডি খালে ৫ দিন পর মিললো আশামনির লাশ
ঢাকার কদমতলী এলাকায় খেলতে গিয়ে ডিএনডি খালে পড়ে যাওয়া ছয় বছরের শিশু আশামনির লাশ মিললো পাঁচ দিন পর।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে খালের পানির নিচে জমা আবর্জনার স্তূপ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “খালে জমা আবর্জনা অনেকটা পরিষ্কার করা হয়েছে গত চারদিনে। আজও আমাদের ডুবুরিরা সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। দুপুরে তাদের একজনের পায়ে মৃতদেহটি আটকায়।”
আশামনি এ বছরই মেরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশুশ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার বাবা এরশাদ ওই এলাকায় একটি মুদি দোকান চালান। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে কদমতলী থানাধীন মেরাজনগরে রায়েরবাগ-কদমতলী সড়কের পাশে ডিএনডির পয়ঃনিষ্কাশন খালের কালভার্টের ওপর আরও কয়েকটি শিশুর সঙ্গে খেলছিল আশামনি। এক পর্যায়ে তাদের বল খালে পড়ে ভাসমান আবর্জনায় আটকে গেলে আশামনি সেটা তুলতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নজমুজ্জামান জানান, সেদিন থেকেই তাদের দুটি ইউনিট ওই খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টায় তল্লাশি চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড নোংরা পানিতে জমে থাকা আবর্জনার কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছিল।
“পুরো খাল ময়লায় পূর্ণ। মাঝে মাঝে ময়লার স্তর এমন হয়ে রয়েছে যে মনে হবে নিচে পানি নেই। কিন্তু কেউ পা দিলে তলিয়ে যাবে। শিশুটিও ওইভাবে তলিয়ে যায়। ময়লার কারণেই তাকে খুঁজে পেতে এত সময় লাগলো। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল।”
আশামনিকে খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি আরও জোরদার করার দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেনা সদস্যরাও সেদিন তল্লাশি অভিযানে যোগ দেন। স্থানীয় কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক শ্রমিক দিয়ে ময়লা সরানোর ব্যবস্থা নেন।
ফারুক নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওই এলাকাটি বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। আগে ছিল শ্যামপুর ইউনিয়ন, তাই অবহেলিত ছিল। বর্তমানে ডিএনডি খাল সংস্কারের কাজ চলছে।”