ডাবের শাঁসে নরম ত্বক!
নরম ত্বকের জন্য দুধের মালাই দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করে যাচ্ছেন। এতে ত্বকের কোলাজেন গঠন হচ্ছে।
কিন্তু নরম ত্বক কি পেয়েছেন? গরমে হাইড্রেটেড থাকার জন্য ডাবের পানি পান করছেন। আর ডাবের শাঁসটা কী করছেন? নরম ত্বক যদি প্রাকৃতিক উপায়ে পেতেই হয় তাহলে ভরসা রাখুন ডাবের শাঁসের ওপর।
নিয়মিত ডাবের পানি মাখলে ত্বক ভাল থাকে। ডাবের পানিতে ভিটামিন সি এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মত ত্বক-উজ্জ্বল এবং নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একইভাবে ডাবের শাঁসে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। যার ফলে এতেও উন্নত হবে আপনার ত্বক। কিন্তু এ ডাবের শাঁসকে কীভাবে রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন, ভেবে দেখেছেন?
প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেবে ডাবের শাঁস-
ত্বকের প্রাকৃতিক আভা বজায় রাখতে ডাবের শাঁস দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। এর জন্য আগের রাতে ৫টি আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে আমন্ডগুলোকে পিষে নিন। এবার একটি পাত্রে এ আমন্ড বাটা, ২ চামচ নারকেলের দুধ, ১ চা চামচ মধু আর ১/২ চামচ ডাবের শাঁস নিন। মিশ্রণগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিন।
মেকআপ ব্রাশের সাহায্যে এ ফেসপ্যাকটি খুব ধীরে ধীরে মুখে লাগান। এটা ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন। ফেসপ্যাকটা শুকনো হতে শুরু করলে হাত দিয়ে স্ক্রাব করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমবার ব্যবহারের পরেই আপনি আপনার মুখে অন্যরকম আভা দেখতে পাবেন।
ব্রণ ও ব্রণর দাগকে বলুন বিদায়-
আপনার ত্বকে যদি ব্রণপ্রবণ হয়। ব্রণ দাগ যদি পিছু না ছাড়া, তাহলে এর থেকে মুক্তি পেতে আপনি ডাবের শাঁসের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। একটি পাত্রে ডাবের শাঁস, নারকেল দুধ এবং গোলাপজল যোগ করুন এবং এটি ভালভাবে মেশান। তুলোর সাহায্যে মুখে লাগান।
এ ফেসপ্যাকটি মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা ক্লিনজার ও পানির সাহায্য মুখ পরিষ্কার করে নিন। এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। ধীরে ধীরে দেখতে পাবেন আপনার ব্রণ ও ব্রণর দাগ কমে গেছে।