ডাকসু নির্বাচন আগামীতে নিয়মিত হবে, আশা উপাচার্যের
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল সোমবার শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতি যত সংখ্যক অধিকতর দক্ষ ও নেতৃত্বের গুণাবলি সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব পেতে পারত তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এ বঞ্চনার সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হতে সক্ষম হব।
উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘ক্যালেন্ডার ইভেন্টে’ পরিণত হয়, সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সদিচ্ছা ও সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। প্রায় তিন দশক পর আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রচার শুরুর মধ্যে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যে ‘সহাবস্থান’ তৈরি হয়েছে সেটি নির্বাচনের সময়ও ধরে রাখার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষার্থীসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী ও সংগঠনসমূহের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাশীলতায় গণতান্ত্রিক আচরণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, আমি সেজন্য আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে প্রত্যাশা করব, তাদের এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা যেন সব সময়ে অব্যাহত থাকে।
রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় রয়েছেন মোট ২২৯ জন। আর এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১৭৩ জন।
চূড়ান্ত তালিকায় সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ২১জন। তাদের সঙ্গে ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৩ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন।
উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, দল-মত নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সকলে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করছেন। প্রার্থীরা অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি আহŸান জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সব হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।