ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের গণভবনে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধানের দৈনিক কর্মসূচিতে শনিবার বিকাল ৪টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের সাক্ষাতের সময় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সবার প্রধানমন্ত্রী। তিনি ডাকসু ও হল সংসদে বিজয়ী সবাইকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমাদের সবার দায়িত্ব সেখানে যাওয়া।”
নূর বলেন, তিনি ও তার প্যানেল থেকে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী আখতার হোসেন- দুজনেই শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে যাবেন। নির্বাচিত অন্যরাও সেদিন যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডাকসু ও হল সংসদে আমরা যারা ছাত্রলীগ থেকে বিজয়ী হয়েছি, তারা সবাই শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যাব।”
প্রায় তিন দশকের অপেক্ষার পর গত ১১ মার্চ ডাকসু ও ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন হয়। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় পাঁচটি প্যানেল।
সেদিন গভীর রাতে ঘোষণা করা ফলাফলে দেখা যায়, ডাকসুতে মোট ২৫টি পদের মধ্যে জিএস-এজিএসসহ ২৩টি পদে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ।
বর্জনের মধ্যেও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী হন একই প্যানেলের আখতার হোসেন।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ নির্বাচন বর্জনকারী পাঁচটি প্যানেল এখন ডাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিলের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন। পুনঃতফসিলের দাবিতে কর্তৃপক্ষকে শনিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে তারা। আর নূর ৩১ মার্চের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
তাদের এই দাবিতে সাড়া না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচিতদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি যত দ্রুত সম্ভব অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নতুন ভিপি নূর ডাকসুর অভিষেক নিয়ে বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা তিনি তাদের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছেন।
“তারা যদি চায় যে আমি ভিপি হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে তাদের জন্য লড়াই সংগ্রাম করি, তাহলে আমি সেটা করব। তারা যদি না চায় তাহলে আমি দয়িত্ব গ্রহণ করব না।”