November 24, 2024
জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে এক পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু : আইইডিসিআর টিম

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
অজ্ঞাত রোগে ১৫ দিনের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামে আবু তাহেরের বাড়ি পরিদর্শন করেছে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি দল।
পাঁচ সদস্যের তদন্ত দলে রয়েছেন-ডা. গাজী শাহ আলম, ডা. তানজিনা নওরীন, ডা. দেবাশীষ কুমার শাহ, ডা. শাহনাজ পারভীন ও ডা. ইসমাইল খান। গতকাল বুধবার দুপুরে তারা আবু তাহেরের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য, স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। আবু তাহেরের বাড়ির চারটি কক্ষ থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঠাকুরগাঁও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছে। রাজশাহী থেকে আরেকটি মেডিকেল টিম ঠাকুরগাঁওয়ে আসছে বিষয়টি তদন্ত করতে। দু’টি মেডিকেল টিমই ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিন অবস্থান করবে। সংগৃহীত নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আশা করি, ঢাকা থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে প্রতিবেদন এলেই পাঁচজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
উলে­খ, গত ৯ ফেব্র“য়ারি হঠাৎ শরীর কেঁপে ও মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে মারা যান বালিয়াডাঙ্গীর ভান্ডারদহ মরিচপাড়ার ফজর আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫)। এরপর ২১ ফেব্র“য়ারি একইভাবে অসুস্থ হয়ে মারা যান আবু তাহেরের জামাতা হাবিবুর রহমান (৩৫) ও স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্র“য়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান মৃত্যুবরণ করেন এবং ওই পরিবার ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে ছয়/সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্য, আত্মীয় ও এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
আবু তাহেরের জামাতা হাবিবুর রহমান ছয় বছর দুবাই ছিলেন। ছয় মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। তিনি হয়তো বিদেশ থেকে কোনো ভাইরাস বহন করে এসেছিলেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জনগণ। তবে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম এবং তার দুই ছেলে-মেয়ে এখনও সুস্থ রয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সবাইকে মুখে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে বলা হয়। স্থানীয় দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টি বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়া হবে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *