ট্রাম্প-কিম বৈঠক ব্যর্থ: পাঁচ উ. কোরীয় কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ভিয়েতনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বিশেষ উত্তর কোরীয় দূতসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদপত্র এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে চুসান ইলবো পত্রিকা জানায়, ট্রাম্প-কিম সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিশেষ উত্তর কোরীয় দূত কিম হায়ক চোল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের চার নির্বাহী কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে সম্মেলন পণ্ড হওয়ার পর মার্চে পিয়ংইয়ংয়ের মিরিম বিমানবন্দরে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
উত্তর কোরীয় দূত কিম হায়ক চোল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক আলোচনার পথ সুগম করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও ফ্রেব্রুয়ারির ওই সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্বের কাজ করেছিলেন।
পরে কিম হায়ক-চোলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে বলা হয়, “তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিসন্ধি ঠিকমত উপলব্ধি না করে খুব দুর্বলভাবে আলোচনার ওপর প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।”
গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দ্বিতীয় ট্রাম্প-কিম বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল, কোরিয়া উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করা আর উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল, তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া।
চুসান ইলবো পত্রিকা বলেছে, দেশের অভ্যন্তরীন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং গণঅসন্তোষ থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরেক শুদ্ধিকরণ অভিযান শুরু করেছেন।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবরটি নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়া খবরটি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। ওদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও খবরটি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।