টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
প্রত্যাশিতভাবে সাকিব আল হাসানই হলেন টেস্ট অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভার পর এই ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। লিটন দাস হয়েছেন এই ফরম্যাটের সহঅধিনায়ক।
নাজমুল বলেছেন, ‘বোর্ডে তিনজনের নাম এসেছিল। এর মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথমেই আমাদের সিদ্ধান্ত হয় যে এবার অধিনায়কের সঙ্গে একজন সহঅধিনায়ক আমরা যোগ করবো। ওটা নিয়েই প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় আমাদের। তারপর আসে যে অধিনায়ক তাহলে কে হবে? আমরা আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সাকিব আল হাসান টেস্ট অধিনায়ক আর লিটন দাস সহঅধিনায়ক।’
২০১৯ সালে সাকিব আল হাসান ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা গোপন করার কারণে নিষিদ্ধ হন। টেস্টে তার নেতৃত্ব পড়ে মুমিনুল হকের কাঁধে। কিন্তু নতুন দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে হারাতে বসেন তিনি। যার শেষ হলো তিন দিন আগে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক করে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান মুমিনুল এবং বোর্ডও তা মেনে নিয়েছে। নতুন অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাপতি নাজমুল বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট দলের নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেন। তৃতীয় দফায় টেস্ট অধিনায়ক হলেন সাকিব। এই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই নতুন দায়িত্ব নিবেন তিনি। আগামী ১৬ জুন অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু হবে তার এই নতুন অধ্যায়।
২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দুই দফায় অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে ১৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ, জয় মাত্র ৩টি আর হার ১১ ম্যাচ। ২০০৯ সালে মাশরাফি মুর্তজার উত্তরসূরি হয়ে দলের দায়িত্ব নেন সাকিব। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেন। ওই সফরের ব্যর্থতায় তাকে সরে যেতে হয়। পরে ২০১৮ সালে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে নেতৃত্ব বুঝে পান তিনি। পরের বছর নিষিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
অধিনায়কত্ব মুমিনুলের পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলেছে তা এ পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হবে। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৯১২। ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৬১৩। সেঞ্চুরি ছিল ৮টি। শেষ ১০ ইনিংসে তার রান মাত্র ৭৪। ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিনটিতেই মেরেছেন ডাক।
২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৭টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে মুমিনুল ৩ জয়, ১২ হার ও দুটি ড্র করেছেন। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঐতিহাসিক ড্র ও নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের সাফল্য আছে।