টেমস নদীতে হাঙরের বাসা
লন্ডনের বিখ্যাত টেমস নদীর কিছু অংশকে ১৯৫৭ সালে ‘জৈবিকভাবে মৃত’ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অথচ আজ সেই নদীতেই বাসা বেঁধেছে তিন ধরনের হাঙর। লন্ডনের জুওলজিক্যাল সোসাইটি (জেডএসএল) জানিয়েছে, ২১৫ মাইল দীর্ঘ টেমস নদী এখন টোপ, স্টারি স্মুথ-হাউন্ড ও স্পারডগ প্রজাতির হাঙরসহ অন্তত ১১৫ প্রজাতির মাছ ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল।
টেমস পরিস্থিতি বিষয়ক সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জেডএসএল বলেছে, এই নদী আজ সমৃদ্ধশালী বাস্তুতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। লন্ডনের মতো এতেও অগণিত বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর বসবাস। সিহর্স ও সীলের মতো প্রাণীও আজকাল দেখা যায় এ নদীতে।
তবে টেমস এখন আর ‘প্রায় প্রাণহীন’ না হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে এর বাস্তুতন্ত্র এবং নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রাণীদের জীবন হুমকির মুখে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা দাতব্য সংস্থা জেডএসএল ২০২০ সালে বিপন্ন হাঙর প্রজাতির তথ্য সংগ্রহে গ্রেটার টেমস শার্ক প্রজেক্ট চালু করে। পাখনায় হলুদ ট্যাগ দেওয়া কোনো হাঙ্গর ধরা পড়লে ধরে সে সম্পর্কে বিশদ তথ্য অনলাইনে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে তারা
জানা যায়, টেমসে পাওয়া টোপ হাঙ্গরগুলো সাধারণত ছয় ফুটের মতো লম্বা হয় এবং বাঁচে ৫০ বছরেরও বেশি। আইইউসিএনের বিপন্ন প্রজাতির লাল তালিকা অনুসারে, হাঙরের এই প্রজাতি বিশ্বজুড়ে মারাত্মক বিপন্ন হিসেবে শ্রেণিভুক্ত রয়েছে। টেমসে পাওয়া অন্য দুটি হাঙর প্রজাতি আকারে কিছুটা ছোট, তবে তারাও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। স্টারি স্মুথ-হাউন্ড হাঙরকে সম্প্রতি হুমকির সম্মুখীন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত শিকারের কারণে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়েছে স্পারডগ হাঙরও।