টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না সালমারা
ক্রীড়া ডেস্ক
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো বিচারেই ১৯০ রান তাড়া করা অনেক কঠিন কাজ। আর সেটা যদি হয় মেয়েদের ক্রিকেটে এবং প্রতিপক্ষ যদি হয় অস্ট্রেলিয়া, তাহলে ম্যাচের ফলাফল অনুমান করাই যায়। হয়েছেও সেটাই। অজি নারী ক্রিকেট দলের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় পরাজয় হজম করলেন সালমা-জাহানারারা।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৭৯ রানে হারার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন দিনের মধ্যে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে ৭৯ রানে হারার স্বাদ পেয়েছিল টাইগ্রেসরা। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। অর্থাৎ, এটাই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রæপ ‘এ’তে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ১৮৯ রানের সংগ্রহ গড়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করতে সক্ষম হয় টাইগ্রেসরা।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ কোনো ব্যাটারকেই আগ্রাসী হতে দেখা যায়নি। রান তোলার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান আসলে অজি বোলার মেগান স্কাট আর জেস জোনাসেন। দুজনের দাপুটে বোলিং আর ফিল্ডারদের অসাধারণ ফিল্ডিং মিলিয়ে রান তুলতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সবমিলিয়ে ১১টি চারের মার থাকলেও নেই কোনো ছক্কা।
২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল চতুর্থ উইকেট হারানোর আগে করে ৭৬ রান। এর মধ্যে নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। কিন্তু এই রান তুলতেই ৩২ বল খেলে ফেলেন তিনি। ৩৬ রান করা ফারজানা খেললেন ৩৫ বল। এছাড়া দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন শুধু শামিমা (১৩) ও রুমানা (১৩)। শেষ তিন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করতে পারেননি।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মেগান ৪ ওভারে ২১ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে ১৭ ওভার খরচ করেছেন জোনাসেন। আর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও নিকোলা ক্যারি।
এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি আর বেথ মুনি ঝড়ো শুরু এনে দেন। দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটেই ১৫১ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সালমা খাতুনের বলে সানজিদা ইসলামের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে হিলির ব্যাট থেকে আসে ৫৩ বলে ৮৩ রান। এই ইনিংসটি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।
ওপেনারের বিদায়েও অজিদের রানের চাকায় বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি সালমাদের পক্ষে। উল্টো বাজে ফিল্ডিং প্রদর্শনী প্রতিপক্ষের জন্য আশীর্বাদের কারণ হয়। আর তা থেকে ফায়দা তুলে নিয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন মুনি আর গার্ডনার। এর মধ্যে মাত্র ৯ বলেই ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করেন তিন নম্বরে নামা গার্ডনার আর ৫৮ বলে ৯ চার ৮১ রান করেন মুনি। বল হাতে অজিদের একমাত্র উইকেটটি তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হিলি।