টি-টোয়েন্টির নতুন চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
ক্রীড়া ডেস্ক
কেইন উইলিয়ামসন খেলেছিলেন দুর্দান্ত। ৪৮ বলে ৮৫ রানের অধিনায়কোচিত এক ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছিলেন লড়াই করার মতো এক সংগ্রহ। কিন্তু দিন শেষে ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ প্রমাণ করে দিলেন কিউই অধিনায়কের ইনিংসটা যথেষ্ট ছিল না। অধিনায়ক একাই খেললেন, কিন্তু তাঁকে কেউই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারলেন না। নিউজিল্যান্ডও সংগ্রহটাকে নিয়ে যেতে পারল না অস্ট্রেলিয়ার নাগালের বাইরে। ওয়ার্নার আর মার্শের একটা জুটিতেই কেল্লাফতে অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপ ফাইনালকে ‘একপেশে’ বানিয়ে দুবাইয়ে নিজেদের টি-টোয়েন্টির নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে হেরে আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্যর্থ নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের জন্য আক্ষেপ হতে পারে যে কারওরই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে টানা তিনটি ফাইনালে পরাজিতের দলেই তারা। ২০১৫ সালে এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেই নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল হারের শুরু। এরপর দুই বছর আগে লর্ডসের সেই নাটকীয় ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অল্পের জন্য স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। মাঝখানে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও এবার টি-টোয়েন্টির শিরোপাটা অধরাই হয়ে রইল তাদের। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ফাইনালে উঠে আসা কেইন উইলিয়ামসনের দলের পক্ষে বাজি ধরার লোকের অভাব ছিল না। কিন্তু ফাইনালে অধিনায়ক ছাড়া, নিউজিল্যান্ড দলে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্সই নেই। ১৭৩ রানের পুঁজি নিয়েও এত দিন ধরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ক্রিকেট দুনিয়ার মনোযোগ কাড়া ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা ওয়ার্নার-মার্শদের সামনে হয়ে রইলেন অসহায়ই। রীতিমতো ব্যাট হাতে রাজত্ব করেই নিউজিল্যান্ডকে ওড়ালেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানরা—ডেভিড ওয়ার্নার আর মিচেল মার্শ। ওয়ার্নার শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক—চার বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় করলেন ৩৮ বলে ৫৩। মার্শ ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৭ করে অজেয় শেষ পর্যন্ত।